রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতে নির্নমভাবে হত্যা করা হয় নগরীর দক্ষিন র্যালি বাগান এলাকার নিহত আরজু বেগমকে। গত ১৮দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এই হত্যান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এড. হামিদা, এড আসমা, রমজান, সাহাবুদ্দিন, পপি, কান্দাগুজা ওরফে ডোম জাকির ও তার অন্যতম সহযোগী আলমগীর ,জাহাঙ্গীর সহ সকল খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেছেন শহরের র্যালি বাগান এলাকার সর্বস্তরের জনগন।
শুক্রবার (১৯এপ্রিল) বিকেলে শহরের দক্ষিন র্যালি বাগান পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজন করেন নিহত আরজু বেগম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ সভা।
এ সময় বক্তরা বলেন, নিহত আরজু বেগমের পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তহীর মধ্যে জীবন যাপন করছেন। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ায় এড. হামিদা নানা ভাবে নিহত আরজু বেগমের পরিবারকে হুমকি প্রদান করছে। আর কত আরজু বেগমদের মত খুনের স্বীকার হতে হবে?
তারা আরো বলেন, একজন হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে যখন জামিন পেয়ে যায় তখন বিচার নিয়ে এই প্রশ্ন থেকেই যায়। এতদিন ভাবতাম আইনজীবীরা ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করেন। তাই তাদেরকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু আজ একজন খুনি, অপরাধী শুধুমাত্র অ্যাডভোকেট হওয়ার কারণে তার পক্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে জামিন চাওয়ার মধ্যদিয়ে সেই বিশ্বাস আমাদের ভেঙ্গে গিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করায় এ্যাড. হামিদা আক্তার লিজা ও রমজানের লোকজনদের সাথে নিহত আরজু বেগমের পরিবারের সাথে শক্রতা তৈরি হয়। যতদিন মাদকের ব্যাপারে এই পরিবার কোন প্রতিবাদ করিনি ততদিন তারা তাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার পুরো পরিবার তাদের কাছে শক্রতে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিটক আরজু হত্যা মামলার সকল আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব কলেন, দক্ষিন র্যালিবাগান ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম রানা। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নাধারন সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পদক সাগর বাবু, সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ শরীফ মোল্লা, সহ ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল মল্লিক, দক্ষিন র্যালি বাগান পঞ্চায়েক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ১৫নং ওয়ার্ড জতয়ি পাটির সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া সহ প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ (শুক্রবার) নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারে মাদকের প্রতিবাদ করায় ৫ সন্তানের জননী আরজু বেগমকে (৪০) নামে এক নারীকে মারধর ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনার পর সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আরজু বেগম টানবাজার র্যালী বাগান এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় এ্যাড. হামিদা ওরফে লিজা, তার বোন এ্যাড. আসমা, হোসনা ও সরবানু, রমজানসহ ৭ জনকে আটক করেছ পুলিশ। নিহত আরজুদা বেগমের জামাতা মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়।
Leave a Reply