রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : বুয়েটর মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাত হত্যার বিচারের দাবিসহ ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল, বিএনপি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অভিলম্বে মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করেছে পুলিশ।পুলিশের মারমুখী এ ধরনের আচরণের এক পর্যায়ে সমাবেশ না করেই চলে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।পরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেত হয়ে জেলা পুলিশ সুপারের অনুমিতি চাওয়ার একটি লিখিত অনুমতিপত্র দেখান তারা।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের দক্ষিন পাশের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে টেনে হিচড়ে পুলিশ ভ্যানের দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামুন মাহমুদসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেলসহ জেলা বিএনপির আরো নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের গলিতে জড়ো হতে থাকে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে সমাবেশ শুরুর পূর্বেই সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। সোয়া দশটার দিকে নেতৃবৃন্দ সমাবেশে দাড়াতে শুরু করলে সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ও সহকারি উপ-পরদর্শক (এএসআই) শামসুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে বাধা প্রদান করে। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের শার্টের কলার চেপে ধরে তাকে টেনে পুলিশ ভ্যানের দিকে নিয়ে যেতে থাকে এক পুলিশ সদস্য। বিএনপির আরেক কর্মীকে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তার গেঞ্জিই খুলে ফেলে দেয় পুলিশ।এক পর্যায়ে মামুন মাহমুদ নিজেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিলে এসআই সাইফুল মারমুখী ভঙ্গিতে বলেন, ‘কিসের সেক্রেটারি তুমি? কিসের ছাত্র? ফাইজলামি শুরু করছেন? পিডান না খাইলে ভাল্লাগে না আপনাগো? ছবি না উঠাইলে ভাল্লাগে না? কথা বাড়াইয়েন না চলে যান এখান থেকে।
পুলিশের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। এটি একটি জাতীয় ইস্যু ছিল। আমরা তো সরকার বিরোধী কোন আন্দোলনের জন্য আসি নাই। একজন মেধাবী ছাত্র হত্যা হইসে তার বিচার চাইতে এসেছি। আমরা একটা জায়গায় দাড়িয়ে সন্তান হত্যার বিচারও চাইতে পারবো না? দেশে গণতন্ত্র বলতে কি কোন কথা নেই? পরে নেতৃবৃন্দ যে যার মত করে চলে যায়।
Leave a Reply