রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : সোনার বার কেনার কথা বলে কয়েক দফা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় ইমাম ওহিদুর জামান। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিলে ২১ আগস্ট রাত ৯টায় সোনারগাঁ থানাধীন মুগরাপাড়া ইউনিয়ন মল্লিকপাড়া বাইতুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে খুন করে। সে ঘটনায় জেলা পুলিশের টিম দায়ত্বি পালনে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ইমাম দিদারুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামী ওহিদুর জামানকে মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে বুধবার ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৮ আগষ্ট) বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনা পরিকল্পিত ছিল। পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার আগের রাতে (২০/০৮/১৯) দিদারের সাথে দেখা করে বলে আগামীকাল (২১/০৮/১৯) রাতে এশার নামাজের পরে পাওনা টাকা ফেরত দেয় হবে। ঘাতক ওহিদুল শিবচরের পাঁচচর এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতিটি ক্রয় করে রাখে এবং সোনারগাঁ মুগরাপাড়া থেকে ঘুমের ঔষধ ও কোকাকোলার বোতল কিনে আনে। পরে কোকের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ইমাম দিদারুল ইসলামকে খাইয়ে অচেতন করে। পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক চাপাতি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর ভিকটিমের ব্যবহৃত খাতায় হিজবুত তাওহিদের সদস্য, সে আমাদের দল থেকে অস্ত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে এসেছে তাই তাকে আমরা মেরে ফেলেছি। এরুপ আরো কিছু লেখা ছিলো। পরবর্তীতে উক্ত ঘাতক অহিদুর হত্যাকান্ড সম্পন্ন করে মসজিদের ওৎুখানায় গোসল করে রক্তমাখা লুঙ্গি পাশের কঢ়ুরিপানার মধ্যে ফেলে রেখে ঢাকার মিরপুর হয়ে মাদারিপুর চলে যায়। মূলত ঘাতক অহিদুরের পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক এ হত্যাকান্ড ঘটায়। উক্ত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাওহিদের নাম ব্যবহার করে বলে জানায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার। আমরা এ ব্যাপারে তাড়াতাড়ি চার্জশিট দেব যাতে করে এ হত্যাকান্ডের বিচার কাজ দ্রুত সমাধা হয়। খুনি যেই হোক খুন করে পার পাবেনা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ডিবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস সাহা, পুলিশ পরিদর্শক (ডি,আই,ও-২) মোঃ সাজ্জাদ রোমন সহ প্রমুখ।
Leave a Reply