রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, যারা এখনো ডিজিটালেশনও বানাতে পারেনি তারা নাকি বলে আবার স্মার্ট বাংলাদেশ বানাবে। তারা ডিজিটাল বানাতে গিয়ে দেশকে কি ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে আর এখন স্মার্ট কিভাবে বানাবে তা আমরা বুঝি। এইসব বলে দেশের মানুষের কাছে তারা আবারও ভোট চাইছেন।দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের এই ভেলকিবাজি সবকিছুই বুঝে ফেলেছে। আওয়ামী লীগে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ জনগণ। দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে ফেলেছে সরকার। চাঁদা ছাড়া দেশে কোন কিছুই করা যাচ্ছে না। দেশের আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি। দেশে তো আইনের শাসন নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। বিনা বিচারে গায়েবী মামলায় সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশে আইন কানুন বলতে কোন কিছুই নেই।
সোমবার ( ৯ জানুয়ারি ) বিকেলে নগরীর মিশন পাড়াস্থ হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করেছি সেই লড়াই তো ৫১ বছর আগেই আমরা শেষ করেছিলাম। আজকে ন্যায় বিচারের জন্য আমাদেরকে আন্দোলন করতে হয়। এটিও তো ৫১ বছর আগেই মীমাংসিত বিষয় ছিলো। বাংলাদেশের মানুষের সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকার সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে জবাবদিহিতা করবে। আর জনগণই হবে রাষ্ট্রের মালিক। আজকে কোথায় জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ নয়। তাদের কাছে আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছে। সেই জিম্মিদশা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ক্ষমতায় গেলে কি কি করবেন তার জন্য ২৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ক্ষমতার মালিক একমাত্র উপর ওয়ালা। দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যই বিএনপি লড়াই করছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, এম এইচ মামুন, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, মাহমুদুর রহমান,বরকত উল্লাহ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, শাহিন আহমেদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব গুলজার হোসেন খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ পনেছ, নাজমুল হক রানা, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান সাগর, বন্দর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহিদ ইসতিয়াক সিকদার, মহানগর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীনসহ অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply