রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, বিএনপি পিছনের দরজা দিয়ে নয় জনগণের ম্যান্ডেট নিয় ক্ষমতায় এসেছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে নির্বাসিত থাকলেও তিনি সবসময় দেশ ও জনগণের কথা ভাবেন। গত ১৪ বছরে মামলা-হামলায় আমাদের কর্মীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে কিন্তু তবুও বিভাগীয় সমাবেশ গুলোতে কর্মীদের ঢল নামে। অবৈধ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আর যেন দিনের ভোট রাতে না হয়। এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবোনা। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশে শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেয়া হবে, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবেনা। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬৯,৭১ ও ৯০ এর মতো আন্দোলন চলবে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবোনা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন স্থানে গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুল কবির খোকন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আর তারেক রহমান দেশের বাইরে আমরা ভাল থাকতে পারিনা। এই ভারতের তাবেদার সরকারের শাসনামলে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারেনা। আওয়ামী লীগ নীশি রাতের ভোট চোরের সরকার। গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
উক্ত সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. সরকার হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, এম এইচ মামুন, ফারুক আহমেদ রিপন প্রমুখ।
গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজির সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাখাওয়াত হোসেন রানা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, দিলারা মাসুদ ময়না সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে মোঃ আক্তার হোসেন ৮১ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মাইনুল হাসান লিমন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১২৬ জন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন, এড. রফিক, এড. আনোয়ার প্রধান, মাসুদ আহম্মেদ, ডাঃ মজিবুর রহমান ।
Leave a Reply