শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সম্পদ না,শেখ হাসিনা এখন আপনার আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ-শামীম ওসমান

রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেছেন,আজকে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছি। আমার মনে হয় আমরা নিজের পায়ে দাড়িয়েছি। আজ বাংলাদেশ গর্ব করে বলতে পারে, আমরা অন্য পায়ে ভর দিয়ে দাড়িয়ে নেই, আমরা নিজের পায়ে দাড়িয়েছি। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই, এটা তো সেই বাংলাদেশ যেখানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। আমরা দেখেছি আজ বিচার মানবাধিকারের কথা হয়। নেত্রী যেদিন দেশে ফিরেন সেদিন ধানমন্ডির বাড়িতে সে ঢুকতে চেয়েছিলো। সে চিৎকার করে বলেছিলো আমি ভিতরে গিয়ে দু-রাকাত নফল নামাজ পরতে চাই। তবে তখন জিয়া সাহেবের সরকার শেখ হাসিনাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। উনিশবার তাকে আঘাত করা হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমরা মুক্তিযোদ্ধার প্রোডাক্ট। জাহানারা ইমাম ভবন করে আমরা নারায়ণগঞ্জে যুদ্ধাপরাধীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। সেসময় সংসদে আমাকে হুমকী দেয়া হয়েছিল যে, আমাকে দেখে নিবে। আমি ভেবেছিলাম সামনে থেকে হামলা করা হবে, করুক হয়তো জিতবো নয়তো মরবো। তবে তারা পেছন থেকে কাপুরুষের মতো বোমা হামরা করলো। বোম বিস্ফোরণে আমার বিশজন মানুষ মারা গেল।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত আইনজীবী প্রনোদনা তহবিল থেকে চেক হস্তান্তর জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্যদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এটনী জেনারেল এড.এ.এম. আমিন উদ্দিন এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সবিচ মো. গোলাম সারোয়ার।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে আরও অনেক কিছু ফেস করতে হবে। যা দেখছি ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট দেখছি, কালার ফিল্ম এখনো আমরা দেখি নাই। যারা সৎ সাংবাদিক যারা সত্যের কথা লিখেন। আমি মনে করি তারা দেশের সেকেন্ড পার্লামেন্ট। আমি মনে করি তাদেরও যাতে অপমান করা না হয়। এটর্নী জেনারেল সাহেবকে অনুরোধ করবো বিষয়টা একটু দেখবেন। পার্লামেন্টে সেদিন সিনিয়র এমপিরা বলছিলেন পদ্মা সেতু হয়েছে, চারিদিকে জয়জয়কার। সেদিন আমি বলেছি যে লোক দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে আমরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই লোককে হত্যা করেছি এবং মোশতাকের পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছি। পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলার। তবে বাংলাদেশের একটা পিলার, সেটা শেখ হাসিনা। আগে শত বছরে একটা মোশতাক জন্ম নিত, আর এখন জেলায় জেলায় বছরের পর বছর মোশতাক সৃষ্টি হয়। সামনে একটা আঘাত আসবে। ওরা বসে থাকবে না। ওরা আঘাত করবে। তাই আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন আপনার আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ। আওয়ামী লীগের ভাল মন্দ সব আছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করব। তিনি যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আমীন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন , নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, আপ্যায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. স্বপন ভূঁইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাছিব উল হাছান রনি, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল আজাদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিয়া আমিন কাঞ্চি, সমাজসেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান ইমন, অ্যাডভোকেট হালিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট হোসেন আহম্মদ, অ্যাডভোকেট মেরাজ সরকার ও অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস সহ প্রমূখ।