রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর এলাকায় ৩ জনকে মারধর করেছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূর হোসেন গং। এ ঘটনায় গোগনগর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিলুফা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুল জলিল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, মৃত ফয়েজ মিয়ার ছেলে নূর হোসেন (৪০), মকবুল হোসেন (৩৫), পাভেল (৩০), মৃত ওহাব আলীর ছেলে আকবর আলী (৪২), আওলাদ হোসেন (৪৫), মৃত খোয়াজ মিয়ার ছেলে পারভেজ (২৮), আমির হোসেন (৩০), মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কাউছার (২৫), মকবুল হোসেনের স্ত্রী ইভা আক্তার (২৮), নূর হোসেনের স্ত্রী রোসনা (৩০), মৃত দেলোয়ারের ছেলে হৃদয় (২৩), মৃত ওহাব আলীর মেয়ে নাজমা (৪৬)
লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, বাদী আব্দুল জলিলের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদী নূর হোসেন গংদের বিবাদ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির সামনের দিকে ওৎ পেতে থাকা নূর হোসেন গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা, দা, রামদা হাতে নিয়ে আব্দুল জলিলের ছেলে সোহেল (৩৮), ভাতিজা বাবু (৩৫) কে অতর্কিত হামলা করে। এসময় বিবাদীদের হাতে থাকা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নীলাফুলা জখম করে। এ ঘটনা দেখে আব্দুল জলিল তাদেরকে বাঁচাতে গেলে বিবাদী মকবুল হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় রামদা দুয়ে কোপ দিলে তিনি বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন।
এসময় উক্ত বিবাধীরা নানা ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত অবস্থায় আবাদুল জলিলকে চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় গোগনগর ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিলুফা বেগম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত জখম হন। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply