রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : সরকার ঘোষিত সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে জমি সহ নির্মিত গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের এক একর জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মান করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছিলো। কিন্তু বাধ সেধেছে সেখানকার স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের। তারা চাইছেনা ঐ জমিতে গৃহহীনদের জন্য কোন গৃহ নির্মান করা হোক। চলমান প্রকল্পের কাজে তারা কর্মরত শ্রমিকদেরকে মারধর করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারী) সকালে স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাসী মাহাবুব ও সেজান গংরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মুজিব ভিলেজ এর জমিতে কাজ করতে যায় শ্রমিকরা। এসময় মাহাবুব ও সেজান এর নেতৃত্বে ১০/১২ জন এর একটি সন্ত্রাসী দল শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। এসময় শ্রমিকরা সরকারী জমিতে কাজ করছে বললে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এতে করে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয় এবং বাকী শ্রমিকরা ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল হোসেন উপস্থিত হয়। ঐসময় মেম্বার রুবেলকেও গালিগালাজ করে এবং মারধর করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা তাকে জমি থেকে চলে যেতে বলে।
গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল হোসেন জানান, সন্ত্রাসী মাহাবুবের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক ব্যবসা সহ একাধীক মামলা চলমান রয়েছে। তারা নিরীহ মানুষদেরকে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছে। আজকে তারা এখানে এসে সরকারী জমিতে হুমকী দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। যেখানে সরকার গৃহহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য জমি ও ঘরের ব্যবস্থা করছেন সেখানে তারা জুলুম অত্যাচার করে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজর আলীর সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সকালের ঘটনাটি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়টি আমি ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে তাৎক্ষনিকভাবে জানিয়েছি। ইউএনও এবং এসিল্যান্ড এর সার্বিক তত্বাবধানে মুজিব ভিলেজ এর এক একর জমিতে যে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে তা আমি সার্বক্ষনিক ভাবে নজরদারী করছি। যাতে করে এ কাজে কোন বিঘœ না ঘটে। মাহাবুব গংরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা সহ একাধীক মামলা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply