রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : আসন্ন ইউনিয়ণ পরিষদ নির্বাচনে  নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানায় প্রায় ৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতে এসব ইউনিয়নে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণের কথাও রয়েছে। তাই বলতে গেলে, এসব ইউনিয়নে সব চেয়াম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরাই এখন মাঠে রয়েছে। ফলে নারায়ণগঞ্জে সর্বত্র এখন নির্বাচনী আমেজ। পথে ঘাট থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, সব খানেই এখন নির্বাচনী আলাপ আলোচনায় মুখরিত।

বিএনপি প্রার্থীদের নিয়ে তেমন একটা আলাপ আলোচনা না থাকলেও দলীয় মনোনয়ন দিতে অনেকটায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের। কেননা, কোন কোন ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধীক নেতাকর্মী। তাই কাকে ছেড়ে কাকে মনোনয়ন দিবেন, এই নিয়েও চলছে বির্তক। আর এসব বির্তক বেশি চলছে শহর ভিত্তিক ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের সব চেয়ে কাছের ইউনিয়ন পরিষদগুলো হলো কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ। আর তাইতো এসব ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে আলোচনাও চলছে সব চেয়ে বেশি। তবে শহর থেকে একটু দূরে, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের একাধীক প্রার্থী থাকায় এসব ইউনিয়নগুলো নিয়েও আলোচনা সমালোচনা চলছে সমানতালে।

তবে এসবের মধ্যেও সমস্ত আলোচনা ও সমালোচনার বাইরে আছে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ এর আস্থাভাজন প্রার্থীর নাম এম শওকত আলী। এই ইউনিয়নে চেয়াম্যান প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান চেয়াম্যান, আওয়ামী লীগের হেডিওয়েট প্রার্থী ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন এম শওকত আলী। যিনি এ ইউনিয়নে এমনভাবে জনসেবা করে গেছেন, যারফলে কেউ তার প্রতিদ্বন্দি হতে চাচ্ছেনা। তবুও যারা চেয়াম্যান প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, তারাও শওকত আলী জনসেবায় মুগ্ধ হয়ে উল্টো শওকত আলীকেই সর্মথন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান শওকত আলীর হাতধরে বক্তাবলী ইউনিয়নে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে রাস্তাঘাট ও ড্রেন নির্মাণ, স্কুলের ভবন নির্মাণে আর্থিক সহয়তা প্রদান এবং নদী পাড়া-পাড়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ফেরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীর যে কোন বিপদে আপদে সবার আগে এগিয়ে যান তিনি। সরকারি বরাদ্ধের জন্য বসে না থেকে নিজ অর্থায়ইের বক্তাবলীতে একে পর এক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে এই শওকত আলী। যার জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদকেও ভূর্ষিত হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, এবারের নির্বাচনে কে প্রার্থী হলো আর কে প্রার্থী হলো না, এসব বিষয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। আমরা বক্তাবলী ইউনিয়ন মানে শওকত চাচাকে চিনি, তাকেই আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। কারণ, তিনি শুধু আমাদের চেয়াম্যানই নন, তিনি হলেন আমাদের অভিভাবক। যে কোন বিপদে যে কোন সময়, রাত নাই দিন নাই, যখনি তাকে ডাকি, কাছে পাই। সত্যিই এমন চেয়াম্যান পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার। আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত হই তাকে নিয়ে। আল্লাহ্ তাকে হায়াত দারাজ করুন। তিনি বেঁচে থাকলে বক্তাবলীর উন্নয়ন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা। তাই আমরা শুধু এবারও নয়, এমন অভিভাবককে বার বার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই আমাদের এলাকার আরো বেশী বেশী উন্নয়ন মূলক কাজ করার জন্য।