রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : সদর থানার কয়লা ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া রাবিত আল হাসান নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় লঞ্চের ভেতর থেকে ২২ জন শিশু, নারী ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চ ডুকির ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করে নদীর তীরে নিয়ে আসে। তখন ভেতরে লাশের সারি দেখা যায়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ঘটনাস্থলের বাতাস ভারী হয়ে উঠে। বিকাল পৌনে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ লাশ গুলো নিহত স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেন এবং জেলা প্রশাসনের কাছে আরো ৬ জনের নিখোঁজের তালিকা রয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে শীতলক্ষা নদীর তীরের বাসাত ভারী হয়ে উঠে।
এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর এলাকায় একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চে এ সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল৷ রাতেই ২৯ জন সাঁতরে তীরে ওঠেন৷ লঞ্চ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে রাত থেকে কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা৷ এর আগে রোববার রাতে উদ্ধারকর্মীরা ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ নিহতরা হলেন. মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর চরমসুরার ওয়ালি উল্লাহর স্ত্রী পাখিনা (৪৫), মুন্সিগঞ্জ সদরের প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), মালপাড়ার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০) ও নোয়াগাঁও পূর্বপাড়ার দুখু মিয়ার মেয়ে ছাউদা আক্তার লতা (১৮) সহ আরো ২৭টি মৃতদেহ।
Leave a Reply