রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের (শিখন ফল) মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট নিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গত রবিবার (৮ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হলেও নারায়ণগঞ্জের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা এই নির্দেশনা হাতে পায়নি বলে জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৭/৮ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে বাড়তি অর্থ আদ্য়া করছে। আবার স্কুলে যেতেও বাধ্য করা হচ্ছে কোথাও কোথাও। কোন প্রকার ফি আদায় না করার কথা বলা হলেও সরকারী নির্দেশনাকে অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয় ৩২০টাকা, কাশিপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ১০০ টাকা সহ আরো কয়েকটি স্কুলে এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানা যায় !
সোমবার (৯ নভেম্বর) এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, শিক্ষার্থীদের (শিখনফল) মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট এর ফি আদায় না করার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। আবার কেউ কেউ বলেছেন করোনাকালিন সময়ে এই বাড়তি অর্থ আদায় করা মোটেই ঠিক নয়।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আগে জানেন এটি কি মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট নাকি পরীক্ষা? যদি এ ধরনের কাজ কেউ করে থাকে সেটা উচিত নয়। যদি এ ধরনের কাজ কেউ করেন তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে সরকার করোনা কালিন সময়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের (শিখন ফল) মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট নিতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি কোনো ফি আদায় করা যাবে না বলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
প্রসঙ্গত, নির্দেশনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যৗল্প কোনো প্রকার অর্থ বা ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে না নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে তিনটি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন তা গ্রহণ করা হবে। এজন্য কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। করোনার কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়েই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপরের শ্রেণিতে উন্নিত করা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের জন্য ৩০ কর্ম দিবসে শেষ করা যায় এমন একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে, যার উত্তর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে লিখতে হবে।
Leave a Reply