রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ (আড়াইহাজার প্রতিনিধি) : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থানপেতে দলটির নেতারা ভিড় করছেন নীতিনির্ধারণীদের কাছে। তবে এবার আলোচনায় ইমেজধারী সিনিয়র নেতা ও তরুণ নেতৃত্ব। ঐতিহ্যবাহি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবার কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান হবে না। এতে ক্লিন ইমেজের নেতাদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। গুণজন রয়েছে এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান হতে পারে মমতাজ হোসেনের।
বৃহম্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মমতাজ হোসেন তার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, আমার রাজনীতি দলের জন্য, দেশের জনগণের জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিলাশী করার জন্য। আমার নিজের লাভের জন্য রাজনীতি অতীতেও করেনি বভিষ্যতেও করব না। বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বুকে ধারণ করেই আমি এ পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রীয় রয়েছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশবাসী তথা আমার আড়াইহাজারবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বিগত ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ-২, আড়াইহাজারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রুনাইয়ের দারুসাসালামে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএ পাশ করেন।
অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, বিএনপি-জামায়ত জোট সরকারের আমলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ পরিচালনা করেছেন এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। মমতাজ হোসেন আওয়ামী লীগের দুসময়ে আড়াইহাজারে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এখনো করছেন। মমতাজ একজন পরিচ্ছন্ন ও ইমেজধারী নেতা। তিনি তার জম্মস্থান আড়াইহাজার তথা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নেতাদের কাছে সুনাম অক্ষুণœ রেখে এ পর্যন্ত রাজনীতি করে এসেছেন। তাকে ঘিরে আড়াইহাজারবাসীর প্রত্যাশা অনেক। এবার তিনিই দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবার স্থান পাবেন এমনটাই আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা।
Leave a Reply