রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : নারায়ণগঞ্জ জেলার কমিনিউষ্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেছেন, গত ৩০ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার পূণরায় ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় এসেই তারা জাতির জন্য এখন তারা দু:স্বপ্নে পরিনত হয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১০০জন নিহত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। কিন্তুু সরকারী হিসেবে ৭১জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে দেশের মানুষের দূর্ভোগের খবর আমরা পাচ্ছি। বর্তমান সরকার সাধারন জনগনের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই আপনারা শুনেছেন আগামী ১১মার্চ থেকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির লক্ষে একটি গণশুণানীর আয়োজন করেছেন এবং কোন যুক্তি ছাড়াই আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। ইতিমধ্যে জ্বালানী প্রতিতমন্ত্রী দাম বাড়ানোর অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এমনিতে এক বার্নারের ক্ষেত্রে ৮৫ ঘনমিটার এবং দুই বার্নারের ক্ষেত্রে ৯২ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহারের দাম নেয়া হয়। কিন্তু তিতাস গ্যাস কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী এক বার্নারে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪৫ ঘনমিটার এবং দুই বার্নারে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪৭ ঘনমিটার। অর্থাৎ গ্যাসের দাম নেয়া হয় দ্বিগুনেরও বেশি। সারাদেশে গৃহস্থালিসহ শিল্প কারখানার জন্য গ্যাস সরবরাহ নেই। বিকল্প হিসাবে মানুষ সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে। কিন্তু সিলিন্ডার ব্যবসায়ীর উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে জেলায়, উপজেলায় বেশি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ১২ কেজির ১টি সিলিন্ডারে গ্যাস থাকে ১৬ ঘনমিটার। বর্তমানে সিএনজি পাম্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হয় ৩৮ টাকায়। তাহলে ১ সিলিন্ডার গ্যাসের দাম হওয়ার কথা ৬০৮ টাকা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০০/১২০০ টাকায়। এসব বিষয়ে সরকার ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নীরব ভুমিকা পালন করে। অথচ রেগুলেটরি কমিশন এর দায়িত্ব জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু কমিশন সরকার ও কোম্পানীর স্বার্থে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তৎপর।
অন্যান্য বক্তরা তাদের বক্তেব্যে বলেন, সরকারের ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় জনগণ নেবে না। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিদেশী কোম্পানীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এই বিদেশী কোম্পানীরাই মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় অগ্নিকা- ঘটিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে, মেরুদ-হীন সরকার ক্ষতিপূরণও নিতে পারেনি। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের কয়েক হাজার কোটি টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়ালে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, ক্ষতিগ্রস্থ হবে সাধারণ মানুষ।
গণসংহতির সমন্বয়ক তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, বাসদ জেলা ফোরামের সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ সোনারগাঁ উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মশিউর রহমান রিচার্ড, রফিকুল ইসলাম সহ প্রমূখ।
Leave a Reply