রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ ঃ সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দ বাজার আমিরাবাদ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো ৫ জন আহত হয়।
রোববার (১ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জাকির হোসেন বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও নুর মিয়ার ছেলে আমির হোসেনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গত রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নবী হোসেন ও আমির হোসেনের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র, দা,রাম দা, টেঁটা, বল্লম, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয় পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও কোপাকুপির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে আমির হোসেন পক্ষের জাকির হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সংঘর্ষেও এ ঘটনায় টেকপাড়া আমিরাবাদ এলাকার নুর মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৩), ইয়ানুসের ছেলে আবু হানিফ (৩১) ও আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজ (৩৭)সহ আরো ৫ জন আহত হয়।
নিহত জাকির হোসেনের বড় ভাই মনির হোসেন জানান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজের নেতৃত্বে তার ভাই জাকির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, জাকির হোসেন নামে একজন নিহত হওয়ার পর পুলিশের একটি টিমকে লাশ সহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে।