রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ ২৪ : বিএনপির ডাকা অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শেষ দিনেও নারায়ণগঞ্জ নগরীর রাজপথ কাপিয়ে অবস্থান নিয়েছেন  চার বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নাসিম ওসমান তনয় যুবনেতা আজমেরী ওসমান।

বৃহস্পতিবার (২রা নভেম্বর) সকালে নগরীর প্রধান সড়ক সহ মহাসড়কে গাড়ি বহরে নিয়ে বিশাল শোডাউন করেছেন যুবনেতা আজমেরী ওসমানের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকগণ।

সকালে সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকা সহ পাড়া-মহল্লায় অবস্থান কর্মসূচীসহ নগরীতে প্রতিবাদ মিছিল ও মোটর সাইকেলে শান্তি শোভা যাত্রা কর্মসূচী পালন করেন যুবনেতা আজমেরী ওসমান। প্রতিবাদ মিছিলটিতে সামনে থেকে যুবনেতা আজমেরী ওসমান নেতৃত্ব দেন। এ সময় শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে তার পেছনে সাড়িবদ্ধ হয়ে অর্ধশতাধিক গাড়ি বহর এবং শত শত মোটর সাইকেলে চড়ে কর্মী সমর্থকরা বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী উচ্চারন করে স্লোগান দেন। এ সময় সরকারের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত  করে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই। ডাক দিয়েছে আজমেরী ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই। আজমেরী ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা আছি একসাথে।

এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আজমেরী ওসমানের কর্মী-সমর্থকরা বলেন,  নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যিনি নারায়ণগঞ্জের সকল উন্নয়নের একক রূপকার। যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বদলা নেওয়ার অন্যতম সেনাপতি। তিনি আমাদের গণমানুষের নেতা নাসিম ওসমান । আজ উনার আদর্শ বুকে ধারণ করে তারই একমাত্র পুত্র, যুব সমাজের অহংকার ও তারুণ্যের আইকন গরিব মানুষের আশ্রয় স্থান আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় রাজাকারের দোসর বিএনপি জামাত জোটকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যুব সমাজ আজ প্রস্তুত। আমরা স্পষ্ট ভাষায় আমাদের নেতা আজমেরী ওসমান এর পক্ষ থেকে বলতে চাই- নারায়ণগঞ্জের নাশকতার মাধ্যমে কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না। মানবতার মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। দেশের ও জনগনের কোন প্রকার ক্ষতিসাধন করা হলে আমরা আজমেরী ওসমানের নির্দেশে প্রতিরোধ করবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার, আলী হায়দার শামীম, কাজি আমীর, হামিদ, নাসির, খায়রুদ্দিন মোল্লা, সুমন, ইফতি, মনির হোসেন, হোসেন, দিপু, আলম, শাকিল সহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।